কখনো নিজের মনের ইচ্ছাগুলোকে নিয়ে ভেবেছেন?
প্রশ্ন করুন নিজেকে- আমি কি করলে খুশী হবো?
কোন কাজটাতে আমি এক্সপার্ট হতে পারবো?
কোন কাজটা করলে আমি অনেকক্ষণ ধরে করলেও ক্লান্ত হবো না?

“চাকরি নাকি ব্যবসা” কোনটা বেশি লাভজনক হবে তা নির্ভর করে বিভিন্ন ফ্যাক্টরের উপর। এখানে কিছু প্রধান বিষয় বিবেচনা করা হলো:

ব্যবসা:

১. নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা:
চাকরিতে একটি নির্দিষ্ট বেতন থাকে যা নিয়মিত পাওয়া যায়। ফলে আয়ের একটি স্থিতিশীলতা থাকে।যার ফলে আপনার টাকা নিয়ে আর চিন্তা করতে হয় না। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে চাকরি করে নিজের সংসার মেইনটেইন করা খুবই কষ্টকর। খরচ বাড়ছে কিন্তু আপনার আয়ের উৎস স্থিতিশীলতা।
২. বৈশিষ্ট্য ও সুবিধা:
চাকরিতে স্বাস্থ্য বীমা, পেনশন, বোনাস ইত্যাদি সুবিধা পাওয়া যায়।
৩. ক্যারিয়ার উন্নয়ন:
চাকরিতে পদোন্নতি এবং প্রশিক্ষণের সুযোগ থাকে, যা ক্যারিয়ার উন্নয়নে সহায়তা করে।

ব্যবসা:

১. উচ্চ আয়ের সম্ভাবনা:
ব্যবসায় আয়ের সীমা নেই। ব্যবসা সফল হলে আয়ের পরিমাণ অনেক বেশি হতে পারে। সঠিক পরিকল্পনা না থাকলে সফলতার উল্টো হতে পারে। তাই ব্যবসা তে সঠিক পরিকল্পনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
২. স্বাধীনতা:
ব্যবসায় স্বাধীনতা থাকে, নিজের মত করে কাজ করা যায় এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। আপনি কারোর কাছে ধরা না। কাউকে আপনার জবাবদিহি করতে হয় না। আপনি ই মালিক আপনি ই শ্রমিক।
৩. উন্নয়ন ও বৃদ্ধি:
ব্যবসার মাধ্যমে নিজের কোম্পানি বা ব্র্যান্ড তৈরি করা যায় যা দীর্ঘমেয়াদে আরও বেশি লাভজনক হতে পারে। আপনার একটা আলাদা ফেম তৈরি হয়।

তুলনামূলক বিষয়:

  • ঝুঁকি: ব্যবসায় ঝুঁকি বেশি, কিন্তু সফল হলে লাভও বেশি। চাকরিতে ঝুঁকি কম, কিন্তু আয় সীমিত।
  • শুরুতে বিনিয়োগ: ব্যবসা শুরু করতে প্রাথমিক বিনিয়োগ প্রয়োজন, যা চাকরির ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় না।
  • কাজের চাপ: ব্যবসায় কাজের চাপ বেশি হতে পারে, কিন্তু চাকরিতে নির্দিষ্ট সময়ের পর কাজের চাপ কমে।

উপসংহার:

চাকরি এবং ব্যবসা উভয়েরই নিজস্ব সুবিধা ও অসুবিধা আছে। আপনি কোনটি বেছে নেবেন তা নির্ভর করে আপনার ব্যক্তিগত লক্ষ্য, ঝুঁকি গ্রহণের ক্ষমতা, আর্থিক অবস্থা এবং আপনার দক্ষতার উপর। কেউ যদি স্থিতিশীল ও নিরাপদ আয়ের পথ চান, তাহলে চাকরি হতে পারে সেরা পছন্দ। অন্যদিকে, যদি আপনি বেশি আয় এবং স্বাধীনতা চান এবং ঝুঁকি নিতে পারেন, তাহলে ব্যবসা লাভজনক হতে পারে।