জুতা পরিধানের প্রথম সুন্নাহ হলো দুই পায়ে জুতা থাকা। এক পায়ে জুতা পরিধান এবং এক পা খালি রাখা সুন্নাহ পরিপন্থি। হয় উভয় পায়ে জুতা পরতে হবে নতুবা উভয় পা খালি রাখতে হবে। আবার পরিধানের নিয়মের ক্ষেত্রে সুন্নাহ হলো প্রথমে ডান পা জুতার ভেতর প্রবেশ করানো এবং খোলার সময় সুন্নাহ হলো প্রথমে বাম পায়ের জুতা খোলা। প্রথমে বাম পা পরিধান বা প্রথমে ডান পা খোলা সুন্নাহ পরিপন্থি।
সহিহ মুসলিমের বর্ণনায় রয়েছে, রাসুলুল্লাহ বলেন:
إِذَا انْتَعَلَ أَحَدُكُمْ فَلْيَبْدَأْ بِالْيُمْنَى وَإِذَا خَلَعَ فَلْيَبْدَأُ بِالشِّمَالِ وَلْيُنْعِلْهُمَا جَمِيعًا أَوْ لِيَخْلَعْهُمَا جَمِيعًا
"তোমাদের কেউ যখন জুতা পরিধান করবে, তখন প্রথমে ডান পায়ে পরিধান করবে। আর যখন খুলবে, তখন আগে বাম পায়ের জুতা খুলবে। আর হয় দু'পায়েই জুতা পরবে, নতুবা দু'পায়ের জুতাই খুলে ফেলবে।”
[সহিহ মুসলিম,পোশাক ও সজ্জা অধ্যায়,'প্রথমে ডান পায়ের জুতা পরা এবং প্রথমে বাম পায়ের জুতা খোলা মুস্তাহাব'অনুচ্ছেদ,নং:৩৯১৩।]
সহিহুল বুখারির বর্ণনাটি:
إِذَا انْتَعَلَ أَحَدُكُمْ فَلْيَبْدَأْ بِالْيَمِينِ وَإِذَا نَزَعَ فَلْيَبْدَأُ بِالشِّمَالِ لِيَكُنَّ الْيُمْنَى أَوَّلَهُمَا تَنْعَلُ وَآخِرَهُمَا تُنْزَعُ
"যখন তোমাদের কেউ জুতা পরিধান করে তখন সে যেন ডান দিক থেকে আরম্ভ করে, আর যখন খোলে, তখন সে যেন মে দিক থেকে আরম্ভ করে, যাতে পরার বেলায় উভয় পায়ের মধ্যে ডান পা প্রথমে হয় এবং খোলার সময় শেষে হয়।”
[সহিহুল বুখারি,পোশাক অধ্যায়,'প্রথমে বাম পায়ের জুতা খোলা'অনুচ্ছেদ,নং:৫৪০৭]
সহিহ মুসলিমের বর্ণনায় রয়েছে, রাসুলুল্লাহ সঃ বলেন:
إِذَا انْقَطَعَ شِسْعُ أَحَدِكُمْ فَلَا يَمْشِ فِي الْأُخْرَى حَتَّى يُصْلِحَهَا
“তোমাদের কারোর জুতার ফিতা ছিঁড়ে গেলে, সে যেন (ছেঁড়া) জুতা ঠিক না করা পর্যন্ত অপর জুতাটি পায়ে দিয়ে চলাচল না করে।"
[সহিহ মুসলিম, পোশাক ও সজ্জা অধ্যায়,'প্রথমে ডান পায়ের জুতা পরা এবং প্রথমে বাম পায়ের জুতা খোলা মুসতাহাব'অনুচ্ছেদ,নং:৩৯১৩]
আমরা জুতা পরিধানের নিয়মের সুন্নাহটির প্রতি অনেক সময় খেয়ালই করি না বা অনেকে এটাকে সুন্নাহ বলেই জানি না। আবার উভয় পায়ে জুতা পরিধানের সুন্নাহ পালন করলেও আমরা হয়তো তা সুন্নাহ হিসেবে করি না। বরং এক পায়ে জুতা দেখতে খারাপ লাগবে বা সামাজিকভাবে বিষয়টি অপছন্দনীয় এবং মানুষের উপহাস করবে ভেবে আমরা এক পায়ে জুতা পরি না। অথচ নবি করিম-এর প্রতিটি সুন্নাহ মুমিনের কাছে গুরুত্ববহ হওয়া এবং তা রাসুলের সুন্নাহ হিসেবেই পালন করার মানসিকতা রাখা চাই। এতে আমাদের ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণ রয়েছে।
Comments